Header Ads

Header ADS

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম। হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজয় দিবস পালন করি সমাজ গড়ে তুলি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ অনুযায়ী জাতীয় পতাকা মাপের সুনির্দিষ্ট বিবরণ নিম্নলিখিত:[১৩] ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকিবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে। অর্থাৎ পতাকার দৈর্ঘ্যের বিশ ভাগের বাম দিকের নয় ভাগের শেষ বিন্দুর ওপর অঙ্কিত লম্ব এবং প্রস্থের দিকে মাঝখান বরাবর অঙ্কিত সরল রেখার ছেদ বিন্দু হলো বৃত্তের কেন্দ্র। পতাকার সবুজ পটভূমি হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট গ্রীন এইচ-২ আর এস ৫০ পার্টস এবং লাল বৃত্তাকার অংশ হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস পতাকা ব্যবহারের মাপ ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো— ১০ বাই ৬ ফুট (৩.০ বাই ১.৮ মিটার) ৫ বাই ৩ ফুট (১.৫২ বাই ০.৯১ মিটার) ২.৫ বাই ১.৫ ফুট (৭৬০ বাই ৪৬০ মিলিমিটার) মোটরগাড়িতে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো— ক) ১৫ বাই ৯ ইঞ্চি (৩৮০ বাই ২৩০ মিলিমিটার) (বড় গাড়ীর জন্য)খ) ১০ বাই ৬ ইঞ্চি (২৫০ বাই ১৫০ মিলিমিটার) (ছোট এবং মাঝারি আকারের গাড়ীর জন্য) আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য টেবিল পতাকার মাপ হল— ১০ বাই ৬ ইঞ্চি (২৫০ বাই ১৫০ মিলিমিটার) ব্যাখ্যা: পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট, লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট, পতাকার দৈর্ঘ্যের সাড়ে ৪ ফুট ওপরে প্রস্থের মাঝ বরাবর অঙ্কিত আনুপাতিক রেখার ছেদ বিন্দু হবে লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু। পতাকার ব্যবহারবিধি 208px-Shangrami_Chetona_-_DU_-_Ashfaq ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কলা ভবনের সামনের পশ্চিম গেটেই বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ভবন এবং অফিসসমূহ, যেমন-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন প্রভৃতি, সকল মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সচিবালয় ভবনসমূহ, হাইকোর্টের অফিসসমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসমূহ, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/কালেক্টর, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের অফিসসমূহ, কেন্দ্রীয় এবং জেলা কারাগারসমূহ, পুলিশ স্টেশন, শুল্ক পোস্টসমূহ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এইরূপ অন্যান্য ভবন এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত ভবনসমূহে সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলিত হয়। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাদের মোটরযান, জলযান এবং উড়োজাহাজে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করতে পারেন। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, উপমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ রাজধানীর বাহিরে দেশের অভ্যন্তরে অথবা বিদেশে ভ্রমণকালীন সময়ে তাদের মোটরযান এবং জলযানে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করতে পারেন।[১৩] অফিসিয়াল বাসভবন নিন্মলিখিত ব্যক্তিবর্গের অফিসিয়াল বাসভবনে ‘পতাকা’ উত্তোলন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের স্পীকার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মন্ত্রীবর্গ চীফ হুইপ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ প্রতিমন্ত্রীবর্গ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ উপমন্ত্রীবর্গ উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক /কনস্যুলার /মিশনসমূহের প্রধানগণ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যানগণ মোটর গাড়ী ও জলযান নিন্মলিখিত ব্যক্তিবর্গ তাদের মোটর গাড়ী ও জলযানে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করার অধিকারী হন : জাতীয় সংসদের স্পীকার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মন্ত্রীবর্গ চীফ হুইপ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক/কনস্যুলার/ মিশনসমূহের প্রধানগণ
জাতীয় পতাকা তৈরির মাপ এবং ব্যবহার জাতীয় পতাকা তৈরির মাপ এবং ব্যবহার শিশুর হাতে জাতীয় পতাকা পতাকার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে মানুষ, তেমনি লাল-সবুজের পতাকাও যেন বিশ্বকে জানান দেয় একাত্তরের মহান বিজয়ের কথা, আমাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা আর অসীম সাহসিকতার কথা। পতাকা যেন তখন আর পতাকা থাকে না, পতাকা হয়ে ওঠে বাঙালির বিজয়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি। বহু ত্যাগ ও ভালোবাসার এই পতাকা তৈরি করে নিতে চাইলে মাপ এবং ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন: • বাংলাদেশের পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট, লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট, পতাকার দৈর্ঘ্যের সাড়ে ৪ ফুট ওপরে প্রস্থের মাঝে হবে লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু। • জাতীয় পতাকা সঠিক রং ও মাপে তৈরি করতে হবে • গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগাতে চাইলে অব্যশই সামনে রাখতে হবে, পেছনে নয় • জাতীয় পতাকা মাটি, পানি বা মেঝেতে ফেলা যাবে না • জাতীয় পতাকার ওপর কিছু লেখা বা মুদ্র্রন করা যাবে না। এমন কি কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে কিছু আঁকা যাবে না। • নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানেই কেবল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা ওড়ানো যায় • শোক দিবসে পতাকা অর্ধ নিমিত করতে থাকবে। পতাকা অর্ধনিমিত রাখার ক্ষেত্রে প্রথমে পতাকা শীর্ষ স্থান পর্যন্ত ওঠাতে হবে। তারপর অর্ধনিমিত অবস্থানে রাখতে হবে। দিনের শেষে পতাকা নামানোর সময় পুনরায় শীর্ষ স্থান পর্যন্ত ওঠিয়ে তারপর নামাতে হবে • যখনই জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হবে, অবশ্যই দাড়িয়ে সম্মান জানাতে হবে • পতাকার অবমাননা হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দেশ, জাতীয় পতাকা ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.